মাদারীপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ব্যাংক কর্মচারী আজিজুর রহমান মাসুম হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদারীপুর র্যাব-৮। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ডামুড্যা উপজেলার বিশাকুড়ি গ্রামের আবুল হোসেন দেওয়ানের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল (৪০) ও একই এলাকার মৃত খোরশেদ আলম তালুকদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪১)। এর আগে জাকির হোসেন রকি (৪০) নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। র্যাব-৮ তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, লেফট্যানেন্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আক্তারের নেতৃত্বে গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকার গুলশান এবং মিরপুর-২ এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আজিজুর রহমান মাসুম হত্যা মামলার মূল হোতা আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল ও শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ডামুড্যার বিশাকুড়ি এলাকায় আলী দেওয়ান এর পুকুর পাড়ে আজিজুর রহমান মাসুমের কয়েকজন মিলে মাদক সেবনের সময় তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। তখন অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন মিলে মাসুমের গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। হত্যার পর মরদেহ গোপন করার জন্য বস্তায় ভরে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের ২ দিন পর ২ অক্টোবর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাদারীপুর র্যাব-৮, সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বলেন, দুই আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। আমরা তাদেরকে ঢাকার গুলশান ও মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করি। এর আগে মাসুম হত্যায় র্যাব-৮ এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে।
উল্লেখ, ডামুড্যায় নিখোঁজের দুইদিন পর পুকুর থেকে আজিজুর রহমান মাসুম (৪০) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মাসুম পৌরসভার বিশাকুড়ি গ্রামের মো. আবদুল আলী জমাদ্দারের ছেলে। তিনি অগ্রনী ব্যাংক ডামুড্যা শাখার অফিস সহায়ক পদে চাকরি করতেন। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে নিখোঁজ হন মাসুম।