মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাহমুদুল হাসান মাদারীপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করার পর থেকে পাল্টে যেতে শুরু করেছে। তিনি যোগদান করে অফিসের সকল কর্মকর্তা -কর্মচারীদের নিয়ে মিটিং করে বলেন এখন থেকে মানুষকে সেবা দিতে শিখুন, পরকালের জন্য কিছু করে জান। অতীতে যেইভাবে পাসপোর্ট অফিস চলেছে এখন একটু ব্যতিক্রম ভাবে চলবে। অফিসে এসে কেউ যদি হারানি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।শিবচর থেকে পাসপোর্ট করতে আসা মেহেদী হাসান বলেন, আগে পাসপোর্ট করতে হলে দালাল ধরতে হত বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিতে হতো । এখন এসে দেখি পাসপোর্ট অফিসে অতিরিক্ত কোন টাকা-পয়সা দেওয়া লাগেনা । সরকারি খরচ যা তাই দিতে হচ্ছে। এই পরিবর্তন দেখে কিছুটা অবাক হলাম, আগে যেখানে টাকা ছাড়া কিছুই বুঝতো না, এখন তারা টাকা-পয়সা নেয়না। পাসপোর্ট অফিসার মোঃ মাসুদ রানা খুব ভালো মনের মানুষ, হরানি ছাড়াই আমার কাজ করে দিয়েছে। এই ব্যাপারে পাসপোর্ট অফিসার মোঃ মাসুদ রানা বলেন, আমরাও সবাইকে বলে দিয়েছি আমাদেরকেও অতিরিক্ত একটি টাকাও দিতে হবে না। সরকারি খরচ যা তাদিলে হবে। আমাদের কাছে মানুষ এসে এখন কোন হয়রানি হয় না। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য।মাদারীপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি পরকালের কথা চিন্তা করি মানুষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে কি হবে। আমি সরকার থেকে যে টাকা পাই তাই দিয়ে আমাদের ভালোভাবে চলে যায়। মানুষ যেন হারানি না হয় সঠিক সেবা পায় তার ব্যবস্থা করেছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।