ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বোধদয় হয়েছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব দলীয় নেতাকর্মীদের বলেছেন সাবধান বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না, দেশে কখন কি ঘটে যায় বলা যায় না। কাদের সাহেব ১২ বছরতো হয়ে গেলো’।
একথাগুলো আগে বলেননি কেন?
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (রুনেসা) উদ্যোগে ছাত্রদল মন্নুজান হল শাখার সাবেক সভাপতি দিলরুবা শওকতের রুহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব ১২ বছরতো হয়ে গেলো। এর মধ্যে পাপুলের টাকা পাচার হয়ে গেলো, বরকতের টাকা পাচার হলো, এর মধ্যে করোনার ভূয়া রিপোর্ট দেওয়া হলো, রিজেন্ট-জেকেজি থেকে ভূয়া সনদ দেওয়া হলো। একথাগুলো আগে বলেননি কেন। আজকে কেন আপনাদের দলের ভেতরের যে সিন্দুক, সেই সিন্দুক খুলে আজকে সম্রাটকে দেখছি, খালেদকে দেখছি, জি কে শামীমকে দেখছি, বরকতকে দেখছি। এগুলো যদি আগে বলতেন তাহলে আপনাদের যে পরিণতি, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্নতা সেটা হতো না।
তিনি বলেন, এত অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন, এত অপরাধ এত লুণ্ঠন, এটাতো ভয়ে থাকার কথাই। হয়তো মুখ ফসকে বলেছেন। কত কি যে বললেন, ২১ আগস্ট ও ১৫ আগস্ট নিয়ে। একে দায় চাপানো ওকে দায় চাপানো। অথচ এরা আয়নার সামনে দাঁড়ায় না। নিজেদের চেহারার দিকে কখনই তাকায় না। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই, মানুষ এখন কি বলে জানেন? আপনাদের প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো বলবে, যে অভিযোগগুলো করবে, তার উল্টোটা বিশ্বাস করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এত কিছুর পর এখন চাচ্ছেন বিরোধীদল অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিজের হাতে রাখতে। সেজন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছেন আরপিও ১৯৭২ এর যে অধিকারটুকু আছে নির্বাচন কমিশনের যে স্বাধীনতাটুকু আছে.., কেউ কখনও নিজের স্বাধীনতা খর্ব করে? আর নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় সমর্পণ করেছেন নিজেদের স্বাধীনতা।
রুনেসার সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রুনেসার উপদেষ্টা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ চন্দ্র দত্ত, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, রুনেসার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম ফরহাদ, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান হানিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রুনেসার সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীর। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দল নেতা কারী রফিকুল ইসলাম।