আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গোপনে পাঁচ মন্ত্রণালয় চালিয়ে বিপাকে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি।করোনার সময় ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের না জানিয়ে ওই ৫ মন্ত্রণালয় চালান মরিসন। মন্ত্রণালয়গুলো হলো- স্বাস্থ্য, অর্থ, সম্পদ, স্বরাষ্ট্র ও রাজস্ব।আগস্ট মাসে ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ পত্রিকায় নতুন প্রকাশিত একটি বইয়ের সারাংশ প্রকাশিত হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে৷বুধবার (৩০ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সংসদে মরিসনের সমালোচনা করা হয়৷ এ বিষয়ে আনীত প্রস্তাব ৮৬-৫০ ভোটে পাস হয়৷ মরিসনের কর্মকাণ্ড অস্ট্রেলিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়৷মরিসন হলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী যার বিরুদ্ধে সংসদে সমালোচনা প্রস্তাব পাস হলো৷করোনার সময় মরিসন সীমান্তে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন৷ গত মে মাসে নির্বাচনে মরিসনের জোটকে হারায় অ্যালবানিজির দল৷সংসদে ভোটের আগে মরিসন বলেন, আজ যারা আমার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন তাদের আমি একটি বিষয়ট বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ করছি, আপনারা কি কখনও এমন কোনো পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেছেন যার ভবিষ্যত সম্পূর্ণ অজানা ছিল৷তিনি স্বীকার করেন কাউকে না জানানোর জন্য অনিচ্ছাকৃত অপরাধ ঘটেছে এবং যারা এতে আহত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা চান তিনি৷মরিসন বলেন, ক্ষমতা নেয়ার পর তিনি শুধু একটি কাজ করেছেন, সেটি হচ্ছে, সম্পদমন্ত্রীর দেওয়া একটি গ্যাসকূপ খনন প্রকল্পের অনুমোদন বাতিল করে দেন৷এদিকে হাইকোর্টের সাবেক বিচারক ভার্জিনিয়া বেল বিষয়টি তদন্ত করার পর বলেন, মরিসনের কাজ আইনগতভাবে বৈধ ছিল, যদিও বিষয়টি সরকারের প্রতি আস্থা কমিয়েছে৷ ভবিষ্যতে প্রতিটি মন্ত্রী পদে নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে জানানো বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দেন বেল৷