নিউজ ডেস্ক : প্রণোদনা ও সুবিধা দেওয়ার পরও রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফেরেনি। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০৫ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার।সেই হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে বেশি এবং তার আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে কম।রোববার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে সবশেষষ চলতি মাসের শুরুতে ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়। তারপরও রেমিট্যান্স প্রবাহে আশানুরূপ ফল মেলেনি।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৪ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার।চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ২৭ কোটি ২২ লাখ ডলার এসেছে। এরপর অগ্রণী ব্যাংকে এসেছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ, ডাচ–বাংলা ব্যাংকে এসেছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ, সোনালী ব্যাংকে এসেছে ৬ কোটি ৪২ লাখ এবং আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে এসেছে ৫ কোটি ডলার প্রবাসী আয়।এ সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিডিবিএল ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।করোনা মহামারির সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কিছুটা কমে ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার দাঁড়ায়। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও কমে আসে। আগামী বছরে রেমিট্যান্স যাতে আরও না কমে এ জন্য বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি নভেম্বর মাসেও এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে চলতি মাসের ১৮ দিনে গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও ২০২০-২১ অর্থবছরের নভেম্বর মাসের চেয়ে গড় রেমিট্যান্স প্রবাহের চেয়ে কম।