‘বিএনপির সমাবেশ দেখে আ.লীগের কাতুকুতু লেগেছে’

‘বিএনপির সমাবেশ দেখে আ.লীগের কাতুকুতু লেগেছে’

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির সমাবেশ দেখে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভয় পাওয়া তো দূরের কথা আমাদের কাতুকুতু লেগেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি কথা বলেন।

বিএনপির নেতারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ করে বলেছেন, তাদের সমাবেশে জনসমাগম দেখে সরকার ভয় পেয়েছে। একইসঙ্গে তারা হুমকি দিয়েছেন সময় আছে সরে যান, তা নাহলে পালানোর পথ পাবেন না এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ করে বলেছেন যে তাদের সমাবেশ দেখে এই হয়েছে ওই হয়েছে। এমন লেগেছে তেমন লেগেছে অনেক কথা বলেছেন। তবে আমাদের কর্মীরা বলেছেন তাদের সমাবেশ দেখে আমাদের একটু কাতুকুতু লেগেছে। ভয় পাওয়া তো দূরের কথা কাতুকুতু লেগেছে। আসলে উনারা দুই হাজার লোকের সমাবেশ করেনতো। হঠাৎ ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ দেখে তারা একটু খেই হারিয়ে ফেলেছেন। তাই বক্তৃতা দিতে গিয়ে.. ওই হচ্ছে ঘটনা।
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে খুলনায় জ্বালাও পোড়াও প্রতিবাদে শ্রমিক ও পরিবহন মালিকরা ধর্মঘট ডেকেছেন, তা নাহলে সমাবেশ ঠেকানোর জন্য আওয়ামীলীগ আগে বিএনপিকে অনুসরণ করছে, এটা কী কোন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে বিএনপি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য আমরা সহযোগিতা করছি। পুলিশ খুলনায় প্রচণ্ড ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের ওপর বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল মেরেছে। একইসঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীরাও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। বিএনপি নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সমাবেশ করেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা যখন সমাবেশ করেছি তখন বিএনপি গ্রেনেড ও বোমা ছুড়েছে। সমাবেশে হামলা চালিয়ে কিবরিয়া সাহেবকে হত্যা করেছে। আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার সমাবেশে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। তখন ২৪ নিরীহ মানুষ মারা গেছে। এভাবে আমাদের সমাবেশে বিএনপি হামলা চালিয়েছে। আর আমাদের পার্টি অফিসের সামনে ৩০ ফিট জায়গা রেখে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রেখেছে। যাতে করে ওই কাঁটাতার টপকিয়ে আমরা বেরোতে না পারি, এই ছিল বিএনপির আমলে আমাদেরকে তারা যেভাবে দমন নিপীড়ন করেছে তার চিত্র। এখন তারা (বিএনপি) নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সমাবেশ করছেন। আর সরকার ও প্রশাসন তাদেরকে সর্বতোভাবে সহায়তা করছে। আমরা আমাদের কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছি শত উসকানির মধ্যেও যেন ধৈর্য না হারাই।
খুলনায় বাস মালিকদের ধর্মঘট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি খুলনায় সমাবেশ করেছে। এটি করতে গিয়ে তারা রেলস্টেশন ভাঙচুর করেছে, দৌলতপুরে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে হামলা করেছে। বিএনপি নেতারা বলেছেন বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ। বাস ও লঞ্চের মালিকরাই কিন্তু ধর্মঘট করেছেন, এখানে সরকারি দলের কোনো হাত নেই। তারা ২০১৩-১৪ সালে যেভাবে বাসে আগুন দিয়েছিলেন, শ্রমিকদের পুড়িয়ে হত্যা করেছেন এজন্য মালিকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। এ কারণেই তারা ধর্মঘট ডেকেছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সেখানে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। আমি আশা করি, এ আশঙ্কা যেন বিএনপিতে না ঘটে। সেটিই আমার প্রত্যাশা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, অতীতে তারা যেটা বলেছিলেন তাদের ক্ষেত্রেই সেটি ঘটেছে। আওয়ামীলীগের বেলায় নয়।
জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী বলেছেন, আগামীতে যে অবস্থা দাঁড়াচ্ছে তাতে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না এ বিষয়টি পরিষ্কার করবেন কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তৌফিক-ই-ইলাহী সাহেব যেটি বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত কথা। সরকার এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তৌফিক-ই-ইলাহী সাহেব কেন এমন কথা বলেছেন সেটা ব্যাখ্যা তিনিই দিতে পারবেন।
জাতীয় পার্টি (জাপা) নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে জাতীয় পার্টি যে বিরোধীদল সেটা দেখানোর জন্য কিছু বক্তব্য রাখছে এটি ভালো। বিরোধীদল প্রমাণ করার জন্য কড়া কড়া বক্তব্য রাখছে। আমি আশা করবো, তাদের অভ্যন্তরীণ যে গণ্ডগোল চলছে সেটা তারা নিরসন করতে পারবেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন