কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, প্যাকেট করার সময় ভুলের কারণেই এমনটা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্রগুলো সঙ্গে সঙ্গেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হবে। তবে পরীক্ষা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে ভুল প্রশ্নপত্র উঠিয়ে নিয়ে প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণ করে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। জেলায় মোট ২১টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টম্বর) পরীক্ষা শুরু হলে কালিয়া উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নের পরিবর্তে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন বিতরণ করা হলে পরীক্ষার্থীদের কাছে ভুলটি ধরা পড়ে। এছাড়া লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই ঘটনা ঘটে।
কালিয়া প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব দীপ্তিরানী বৈরাগী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের ওপরে বাংলা প্রথমপত্রের কোড লেখা থাকায় এমনটি হয়েছে। পরে টের পেয়ে দ্রুত সেগুলো গুছিয়ে নেওয়া হয় এবং বাংলা প্রথম পত্রের অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। কেন্দ্রটিতে প্রথম দিনে ৩৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। এছাড়া বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু হিরা জানান, ১৫টি প্রশ্ন বিতরণের পর বিষয়টি নজরে আসে। এরপর দ্রুত কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা প্রশ্নগুলো ফিরিয়ে নেন এবং সঠিক প্রশ্নপত্র বিতরণ করেন।