নিউজ ডেস্ক : জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক সেই তরুণীকে কানাডিয়ান হাইকমিশনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রোববার (১৭ এপ্রিল) রায় দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন। তরুণীর বাবা মায়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অজি উল্লাহ ও আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী।বাংলাদেশি বাবা-মায়ের ওই সন্তানের জন্ম কানাডায়। ১৯ বছরের ওই তরুণী কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১০ মাস আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে তার নানী ও মা সব সময় বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ডফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনকে তাকে জোর পূর্বক ঘরবন্দি করে রাখার কথা জানান। ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথাও জানান।এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ এপ্রিল রাজধানীর উত্তর মুগদায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের হেফাজতে থাকা জন্মসূত্রে কানাডীয় তরুণীকে গত ১০ এপ্রিল হাজির করাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ওইদিন তাকে হাজির করা হয়। হাজির হয়েছিলেন তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বাবা এবং মা। এরপর আদালত একান্তে ওই তরুণীর কথা শোনেন। তারপর তার বাবা ও মায়ের কথাও শোনেন। ওইদিন আদালত তরুণীকে আপাতত বাবা-মায়ের কাছে রাখতে বলেন।পরে আরও একদফা তরুণীকে হাজির করা হয়। আর ওই তরুণীর ইচ্ছা অনুযায়ী কানাডায় ফেরত যেতে তাকে কানাডিয়ান হাইকমিশনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সে অনুসারে এখন মেয়েটি রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে তাকে কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে তুলে দেওয়া হবে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।