বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২১-২২ অর্থবছরে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) দ্বিতীয় পর্যায়ের দুটি প্যাকেজ অনুমোদন পায় বরগুনা সদর উপজেলা। হেরিং বোন বন্ড এইচবিবির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোহাবাহানের বাড়ি থেকে আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে কবির মাস্টারের বাড়ির মসজিদ পর্যন্ত ৩৩৫ মিটার রাস্তা পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কনস্ট্রাকশন। পরে এখানে ঠিকাদার নয়ন অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী খাল থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ওই রাস্তায় দিচ্ছেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে এলে তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ দেয়। পরে বরগুনা থানা থেকে এএসআই মাসুম গিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করেন।
এ বিষয়ে নির্মাণ কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার নয়ন জানান, বালুর ফেলার কন্ট্রাক্ট স্থানীয় রাজীব নামে এক ব্যক্তিকে দিয়েছি। তিনি সিএফটি ১১টাকা করে নেয়।
বালুর কন্ট্রাক্ট নেওয়া রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইলফোনে বলেন, আমি কোন বালুর কন্ট্রাক্ট নিইনি এবং নয়ন ঠিকাদারের কোনো কাজ করি না। তবে, আমরা বালু উত্তোলনের জন্য জরিমানা দিয়েছি।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, ৯৯৯ সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছি। বোমা মেশিনটি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে কারো কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিয়া শারমিন মোবাইলফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।