বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামায় দুই শিশু সন্তানকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে প্রবাসীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে মারধর করাসহ বসতবাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে বলেও জানা গেছে।বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের বৈদ্যভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে একা থাকতেন। বুধবার দিনগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন ওই নারী। সেসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার মুখ চেপে ধরে এবং তার দুই শিশুকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে ওই নারীকে সারা রাত গণধর্ষণ ও মারধর করা হয়। ধর্ষণের পর দুর্বৃত্তরা বাড়ির আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ গৃহবধূর।বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রতিবেশী এক নারী ওই বাড়িতে পানি আনতে গেলে ঘরের জানালা দিয়ে দুই শিশুকে কান্না করতে দেখেন। তিনি এগিয়ে গেলে প্রবাসীর স্ত্রীকে বাড়ির পেছনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। পরে জানাজানি হলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে।লামা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা জানান, ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতিও চলছে। এর আগে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে কক্সবাজারে পর্যটক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তিন যুবক। পরে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামে হোটেল থেকে বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজারকে আটকও করা হয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।