গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দেশিপাড়া এলাকায় মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার দু’জন হলো- গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সালদিয়া এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মো. মহিউদ্দিন ওরফে বাবু (৩৫) এবং একই এলাকার সাত্তার খানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম খান।নিহত দু’জন হলো- গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নরুন বাজার এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩০) এবং তাদের মেয়ে তাসমীয়া (৫)। নিহত ফেরদৌসীর বাবার নাম বাছির উদ্দিন ব্যাপারী।শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে মেট্রোপলিটন সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মো. জাকির হাসান জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হাড়িনাল এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন ফেরদৌসী। তিনি গাজীপুরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় গার্ডিয়ান ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সংসারের অভাব ঘোচাতে গ্রেফতার মহিউদ্দিন বাবুর স্ত্রী লিমাকে ওই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন ফেরদৌসী। এতে স্বামী মহিউদ্দিনের মত ছিল না। চাকরি করা নিয়ে লিমা ও মহিউদ্দিন দম্পতির মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। লিমাকে ওই চাকরি থেকে বাদ করে দিতে মহিউদ্দিন বিভিন্ন সময় ফেরদৌসীর কাছে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু লিমা চাকরি ছাড়তে রাজি হননি। এসব কারণে তিন মাস আগে লিমা তার স্বামী মহিউদ্দিনকে ডিভোর্স দেন। তাদের ডিভোর্সের পেছনে ফেরদৌসীর হাত রয়েছে বলে বাবুর সন্দেহ হয়। এরপর মহিউদ্দিন হত্যার পরিকল্পনা করে ফেরদৌসী বেগমকে। সে অনুযায়ী গত ২৪ নভেম্বর বিকেলে জাহিদুল ইন্স্যুরেন্সের বিষয়ে কথা আছে বলে ফেরদৌসীকে বাসা থেকে ডেকে আনেন। এ সময় ফেরদৌসী তার মেয়ে তাসমিয়াকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন। পরে জাহিদুল, ফেরদৌসী ও তার মেয়ে তাসমিয়াকে নিয়ে রিকশাযোগে দেশিপাড়া বিমানবাহিনীর টেক এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন মহিউদ্দিন। পরে ফেরদৌসী ও তার মেয়ে তাসমিয়াকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যান জাহিদুল ও মহিউদ্দিন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে নিহত ফেরদৌসীর ভাই হযরত আলী বাদী হয়ে গত ২৫ নভেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ওই দু’জনকে কালীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার কালীগঞ্জের সালদিয়া এলাকায় একটি পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দু’টি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গ্রেফতার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।