আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন উন্নত দেশগুলোর জোট জি-২০-এর নেতারা।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান অর্থনীতি রক্ষায় শত কোটি ডলার দিতে জাতিসংঘ আহ্বান জানানোর পর বিশ্ব নেতারা একটি ভার্চ্যুয়াল সামিটে অংশ নেন।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, সেখানে যেসব সাহায্য দেওয়া হবে, তা দিতে হবে স্বাধীন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে, সরাসরি তালেবানের হাতে নয়।জরুরি খাদ্য ও ওষুধে জন্য আফগানিস্তানে এখন পর্যন্ত কয়েক মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তান নিয়ে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে এমন সময়, যখন দাতব্য কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, দেশটিতে বড় ধরনের মানবিক সংকট হতে পারে।নতুন প্রতিশ্রুতির মধ্যে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, আফগানিস্তান এবং প্রতিবেশী যেসব দেশ শরণার্থীদের গ্রহণ করছে, তাদের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে।সেপ্টেম্বরে নির্বাচনে অংশ নেননি চ্যান্সেলার মেরকেল। তাই নতুন সরকার গঠন হলে তাকে সরে যেতে হবে। কিন্তু তিনি আফগানিস্তানের জন্য ৬০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।মেরকেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুরো আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা আর্থিক পদ্ধতি যদি ভেঙে পড়ে, তাহলে আমাদের কারও কোনো উপকারই হবে না। তখন আর মানবিক সহায়তাও দেওয়া যাবে না। আসলে সীমারেখা টানা সহজ নয়। কিন্তু চার কোটি মানুষ যদি বিদ্যুৎ না থাকা বা আর্থিক পদ্ধতি ভেঙ্গে পড়ার কারণে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে, সেটা তো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লক্ষ্য হতে পারে না।জাতিসংঘের সহায়তা দেওয়া সব প্রতিষ্ঠানে তালেবানের অংশগ্রহণ থাকা উচিত বলেও মনে করে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে নারীদের অধিকারের বিষয়েও সম্মান দিতে হবে।আঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে একমত হয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি, যিনি ওই ভার্চ্যুয়াল সামিটের আয়োজন করেছিলেন। তিনি বলেন, তালেবানের সঙ্গে জি-২০ দেশগুলোর যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু তার মানেই এটা ইসলামপন্থী তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়।এই ভার্চ্যুয়াল সামিটে জি-২০ দেশগুলোর সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে প্রতিনিধি ছিলেন। সামিটে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে অংশ নেওয়া সব সদস্যই আরও বেশি সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছেন।