চীনে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর দেশে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
এরপর ছয় মাস পার হলেও শুরুর দিকে পরীক্ষা নিয়ে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঠিক সেরকম অভিযোগ এখনও রয়েছে।
ঢাকার গুলশানের একজন বাসিন্দা তার স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা জানতে বেসরকারি একটি নামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করার জন্য একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করার পরদিন নমুনা সংগ্রহের জন্য একজন আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘বিকাল ৫টার দিকে এসে বাসা থেকে নমুনা নিয়ে গেল। ঠিক সাড়ে ৬টায় নেগেটিভ রিপোর্টের একটা মেসেজ এল। আমি বেশ খুশি হয়ে আমার স্ত্রীর কাছে গেলাম। সে জানালো ওরা বলেছিল, রিপোর্ট ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগবে।’
এর পরের ঘটনা তিনি যা বর্ণনা করলেন সেটি হল, নমুনা সংগ্রহকারী ল্যাব পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই তার কাছে রিপোর্টের ফল চলে এসেছে।
ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী বিষয়টা আমাকে বলার পর আমি হাসপাতালের কল সেন্টারে ফোন করে বিষয়টা জানতে চাইলাম। আমাকে জানানো হল কোভিড-১৯ পরীক্ষাকে তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।’
‘আমার তবুও সন্দেহ হল। তখন আমি নমুনা সংগ্রহকারীকে ফোন দিয়ে জানলাম সে নমুনা নিয়ে এখনও ল্যাবে পৌঁছায়নি’ যোগ করেন তিনি।
এই ভুক্তভোগীর প্রশ্ন, এমন ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো কি আদৌ নমুনা পরীক্ষা করে কিনা।
‘আমার পরীক্ষার ফল কী তার ওপর নির্ভর করেই না আমি সিদ্ধান্ত নেব। একটা ভুল ফলাফল অনেক কিছু বদলে দিতে পারে’ যোগ করেন তিনি।
রাজধানীর এই বাসিন্দা বলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই জানে না করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করতে কতদিন লাগে। পজিটিভ হওয়ার পরও নেগেটিভ রেজাল্ট নিয়ে একজন ব্যক্তি অন্যদের আক্রান্ত করে বেড়াবে।’
বিবিসি বাংলা বলছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা সূত্র জানিয়েছে, তারাও এধরনের অভিযোগ পেয়েছেন এবং পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।