জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় বাকলিয়া ও খুলশী থানা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে ৬ দোকানিকে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এসব প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও কোমল পানীয়, অননুমোদিত ওষুধ ও রং ধ্বংস করা হয়।
এপিবিএন, ৯ এর সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ মোড়ের চৌধুরী ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা ও বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়। একই থানার ওয়্যারলেস মোড়ের নিউ নাহার ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত বিদেশি ওষুধ রাখায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়। হাজি রুহুল আমিন স্টোরকে উৎপাদন-মেয়াদ উল্লেখ ছাড়া মোড়কজাত পণ্য সংরক্ষণ করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেগুনবাগান এলাকার সুবর্ণা সুইটসকে অননুমোদিত রং ব্যবহার করে মিষ্টি তৈরি ও অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজারের হাসান বেকারিকে উৎপাদিত পণ্যে মেয়াদ উল্লেখ না করায় ও উৎপাদন-মেয়াদবিহীন মোড়কজাত দুধ বিক্রির দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেসার্স বাবে জমজমকে (পরিবেশক, মধুবন) মেয়াদোত্তীর্ণ কোমলপানীয় রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।