২৮তম মিনিটে মেক্সিকোর ডি-বক্সে তাদের এক ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জে দগলাস লুইস পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে অবশ্য ভিএআরের সাহায্যে পাল্টান সিদ্ধান্ত।
মেক্সিকো অবশ্য বিরতির ঠিক আগে দারুণ এক সুযোগ থেকে গোল বঞ্চিত হয়। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি উরিয়েল আন্তুনা। তার শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ছুটে আসা ডিফেন্ডার দিয়েগো কার্লোসে প্রতিহত হয়।
৮২তম মিনিটে রিচার্লিসনের হেড বারে না লাগলে নির্ধারিত সময়েই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো ব্রাজিল। দানি আলভেসের ক্রসে এই স্ট্রাইকারের হেড পোস্টের ভেতরের দিকে লেগেও ভেতরে যায়নি।
নির্ধারিত সমেয়র পরে অতিরিক্ত সময়ের দুদল কোনো গোলের দেখা না পেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই বাজিমাত করেন ব্রাজিল গোলরক্ষক সান্তোস।
ব্রাজিলের হয়ে প্রথম শট নেওয়া দানি আলভেজ গোল করেন। তবে মেক্সিকোর হয়ে দুয়ার্দো আগুইরের দুর্বল শটখুব সহজেই সান্তোস ঠেকিয়ে দিলেন। হলুদজার্সিধারীদের হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে আসেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। তিনি গোল করলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
মেক্সিকোর হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে আসেন ইয়োহান ভাস্কুয়েজ। কিন্তু মিস করলেন তিনিও। বল মেরে দিলেন পোস্টের বাইরে। ২-০। ব্রুনো গুইমারেজ ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় শট নিতে আসেন এবং গোল করেন। মেক্সিকোর হয়ে তৃতীয় শট নিতে আসেন কার্লোস রদ্রিগেজ। এবার গোল করতে সক্ষম হয় দলটি। আর ব্রাজিলের চতুর্থ শট নেওয়া রেইনার গোল করলে ৪-১ জিতে ফাইনালে ওঠে দলটি।