নিজস্ব প্রতিবেদক : মহাখালী বাস টার্মিনালে নেই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট।শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা দেখা যায়।পল্লবী থেকে মহাখালী বাস টার্মিনালে এসেছেন মাহবুব হোসেন চৌধুরী। মা ও বোনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাবেন সিলেটে। তিনি বলেন, আমাকে বাসের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। আগে যখন সিলেট গিয়েছিলাম তখন ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা ভাড়া নিয়েছিল। করোনারকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখন ভাড়া নিচ্ছে ৭৫০ টাকা। সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী এখানে ভাড়া নিচ্ছে।নুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলেন মাদারীপুর। বাড়ি ফিরতে এসেছেন মহাখালী বাস টার্মিনালে। যাবেন ময়মনসিংহ সদরে। তিনি বলেন, গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ যাব। আধ ঘণ্টা যাবৎ বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। সড়কে জ্যাম থাকার কারণে বাস আসতে দেরি হচ্ছে। আগে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে ভাড়া লাগতো ২২০ টাকা। করোনাকালে একটু বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এখন ভাড়া নিচ্ছে ৩৫০ টাকা। আমার মনে হয়, দূরপাল্লার গণপরিবহনগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছে।জনি পরিবহনের স্টাফ শামীম মির্জা বলেন, যাত্রীদের চাপ খুবই কম। সকাল আটটা পর্যন্ত যাত্রীদের একটু চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ কমতে থাকে। ঈদে গার্মেন্টস ছুটি না হওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার পরিবহনে চাপ বাড়বে না। আশা করছি ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়বে।তিনি আরও বলেন, রাস্তায় গরুর ট্রাক ও সড়কের সংস্কার কাজ চলার কারণে ময়মনসিংহ থেকে বাস আসতে দেরি হচ্ছে। শুক্রবার (গতকাল) আমাদের গাড়ি দুপুর বারোটায় গাজীপুর পৌঁছালেও, সেই গাড়ি মহাখালী বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছায় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। আগে ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জের ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা। এখন আমরা ভাড়া নিচ্ছি ৩৮০ টাকা।
এনা পরিবহনের টিকিট মাস্টার উজ্জ্বল বলেন, যাত্রীদের চাপ নেই বললেই চলে। ঈদ অনুযায়ী তুলনামূলক যাত্রী অনেক কম। সড়কে জ্যাম থাকায় বেশিরভাগ যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বর্তমানে মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ যেতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। আগামীকাল থেকে একটু যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে। আমরা সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নিচ্ছি।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে যাত্রীদের বাসে তুলছি। নিয়মিত আমাদের বাসের সিটগুলো স্প্রে করছি। যদি কোনো যাত্রীর মুখে মাস্ক না থাকে তাহলে তার কাছে টিকিট বিক্রি করছি না। সেই যাত্রী বাসে ওঠা তো দূরের কথা।