বিএনপির বক্তব্য খুনি ও খুনের পক্ষে: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির বক্তব্য খুনি ও খুনের পক্ষে: তথ্যমন্ত্রী

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির সব বক্তব্য খুনি ও খুনের পক্ষে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে তখন তারা আবোল তাবোল বকা শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী আহমেদসহ বিএনপি আবোল তাবোল বকা শুরু করেছে এবং তাদের এই বক্তব্য হচ্ছে খুনি ও খুনের পক্ষে। আমি তাদের অনুরোধ জানাব, তারা যেন খুনি ও খুনের পক্ষ অবস্থান না নেন।

বুধবার (১৯ আগস্ট) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাথে সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি তো বিএনপিই করে। বিএনপির পুরো রাজনীতি হচ্ছে ষড়যন্ত্রের উপর ভিত্তি করে। আর মিথ্যার রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য। আজকে যখন সব কিছু দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ও হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের তিনি পুরষ্কৃত করে বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর ’৭৯ সালের পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিলেন, যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়। ঘটনার প্রবাহ সাক্ষ্য দেয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি কাগজে ও টেলিভিশনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুনেছি, দেখেছি ও পড়েছি। একই সাথে বিএনপির অন্যান্য নেকাকর্মীদের বক্তব্যও পড়েছি। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত সেটা আজকে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আপনারা জানেন কর্নেল ফারুক রশিদ বিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা এই ষড়যন্ত্র যখন শুরু করে পাকাপোক্ত করে তখন জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান তাদের এগিয়ে যেতে বলেছিলেন। তিনি পর্দার অন্তরালে থাকবেন। তার বক্তব্যটা এমনই ছিল— আমি যেহেতু সিনিয়র অফিসার আমি পর্দার অন্তরালে, তোমরা এগিয়ে যাও।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্যাপটেন মাজেদ যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। যার দণ্ড কিছুদিন আগে কার্যকর হয়েছে। তিনি তার ফাঁসির আগে যে বক্তব্য রেখেছেন এতেও স্পষ্ট জিয়াউর রহমান কীভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া কর্নেল বেদের চিঠি জিয়াউর রহমানের কাছে ছিল। তার কপি আমার কাছেও আছে। জিয়া যখন রণাঙ্গনে তখন তার কাছে কর্নেল বেগ চিঠি লিখেছেন, তোমার কাজকর্মে আমরা খুশি এবং তোমার স্ত্রী পুত্রদের নিয়ে কোন চিন্তা করো না। তারা ভালো আছে। মেজর জলিল সম্পর্কে তুমি একটু সতর্ক থেকো। তোমার কাজকর্মের জন্য তুমি পুরষ্কৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোসতাক জিয়াউর রহমানকে কেন তিনি তার সেনাপ্রধান বানাবেন? এটিই প্রমাণ করে। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি, সে সময় কোন মুক্তিযোদ্ধাকে কেউ একমুঠো ভাত খাওয়ালে সেই পরিবারের ওপর নির্যাতন করা হতো। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হতো। এদিকে জিয়াউর রহমান রণাঙ্গণে যুদ্ধ করে আর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দুই পুত্র পাকিস্তানি ক্যান্টনমেন্টে নতুন বৌয়ের আদরে বসবাস করে, এটি কী সম্ভব? যেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পানি খাওয়ানোর অপরাধে নির্যাতন করা হতো, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হতো। এই সমস্ত ঘটনা সব কিছু সাক্ষ্য দেয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন