নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশি এক তরুণীকে ভারতের কেরালা রাজ্যে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত বাংলাদেশি তরুণ রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়কে (২৬) দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।শুক্রবার (২৮ মে) এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।তিনি বলেন, আমরা ভারতীয় গণমাধ্যম, সাংবাদিক ও বেঙ্গালুরু পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি যে, তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতরা পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় পুলিশের গুলিতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে একজনের সঙ্গে বাংলাদেশি একটি ছেলের ছবি মিলে যায়। ওই ছেলের নাম টিকটক হৃদয়। অভিযুক্ত ওই তরুণ মগবাজারের বাসিন্দা। বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভুক্তভোগী এবং জড়িত অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।এর আগে বাংলাদেশি এক তরুণীকে ভারতের কেরালা রাজ্যে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে ভারতের পুলিশ। অভিযুক্তরা পালানোর সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক টিকটক হৃদয়সহ মোট দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবি শাখার কর্মকর্তারা ভারতের দিল্লির এনসিবি শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই ঘটনায় ইতোমধ্যে হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী এবং আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ২০-২২ বছরের একজন তরুণীকে বিবস্ত্র করে ৩-৪ জন যুবক শারীরিক ও বিকৃতভাবে যৌন নির্যাতন করছে।