বেড়েছে ভোজ্যতেল-পেঁয়াজ-মুরগির দাম

বেড়েছে ভোজ্যতেল-পেঁয়াজ-মুরগির দাম
ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও মুরগির। অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি গাজর  ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, সাজনা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, খিরা ৫০ থেকে টাকা, শসা ৩০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। দাম বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১৪০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ১৫০ টাকা, হলুদ ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা করে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।  বর্তমানে বাজারে প্রতিলিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকা। নতুন দাম অনুযায়ী প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে তেল বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, শুনেছি ভোজ্যতেলের দাম আবারো বেড়েছে। আমার কাছে আগের কেনা তেল আছে। এ কারণে আগের দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করছি। বাড়তি দামে তেল কিনলে তখন থেকে নতুন দামে তেল বিক্রি করবো।এসব বাজারে লাল ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। হাঁসের ডিম দাম কমে ডজন এখন ১২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু-খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা আসলাম আহমেদ বলেন, বন্যার কারণে বাজারে মুরগি কম আসছে বলে দাম চড়া যাচ্ছে। পণ্যের যাতায়াত স্বাভাবিক হলে মুরগির দাম আবার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বাজারের ক্রেতা বেসরকারি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতি যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেই বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। ঊর্ধ্বগতির বাজারে মধ্যবিত্তদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় টিকে থাকাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

ঈদগাঁও–ঈদগড় সড়কে গুম ও ডাকাতি দমনে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি

শিবচরে মাদক রোধে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দিল উপজেলা বিএনপি