কয়েকদিন আগেই পার্লামেন্টে আস্থাভোটে পরাজিত হন ওলি। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বিরোধীরা। প্রেসিডেন্টের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেরবাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে নেপালি কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়। ফলে ফের ওলিকেই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার তোড়জোড় করছিল বিরোধী দলগুলো। ফলে সংসদ ভঙ্গ করার নেপথ্যে নিজের পিঠ বাঁচানোর তাগিদও ছিল ভাণ্ডারীর বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদের আস্থাভোটে পরাজিত হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তারপর থেকেই নেপালে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। পরবর্তী সরকার গড়া নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়তে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা শেরবাহাদুর দেউবা। কিন্তু নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ‘প্রচণ্ড’ ওরফে পুষ্পকমল দহলের সমর্থন পেলেও জনতা সমাজবাদী পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি।