শনিবার (১৫ মে) বিকেলে হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে ছুটে আসছেন হাতিরঝিলে। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় মানুষ ছুটি কাটাতে কোথাও যেতে না পেরে বিনোদনের জন্য হাতিরঝিলেই আসছেন। মিরপুর ১ নম্বরের শাহ আলী এলাকা থেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাইনি। ঈদের দিন চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়েছিলাম। তাই আজ স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে হাতিরঝিলে এসেছি। তবে হাতিরঝিলের মতো এত ভিড় ছিল না চন্দ্রিমা উদ্যানে।দুপুরের পর থেকে হাতিরঝিলে জনসাধারণের আগমন শুরু হলেও রোদের প্রখর তাপকমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে হাতিরঝিলে।ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাননি আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম। থাকে মধুবাগ। তাই বিকেলে হলে হাতিরঝিলে এসেই সময় কাটান তিনি। শরীফুল বলেন, মানুষের ভিড় ঈদের দিনও অনেক ছিল। আজও আছে। ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে যাননি তারাই হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে মানুষ হাতিরঝিলে আসতে শুরু করে। হাতিরঝিলে আগতদের অর্ধেকই তরুণ-তরুণী। বাকিরা এসেছেন স্ত্রী ও সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে।
হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবাই যে যার মতো বসে, দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে হাত ধরে গল্প করছেন। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। এদের মধ্যে আবার অনেকের মুখে নেই মাস্কও।
হাতিরঝিল এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের টহল রয়েছে। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক না পরার বিষয়ে তিনি বলেন, জোর করে কাউকে দিয়ে কোনো কিছু করানো যায় না। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পরেও মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে না। এটা দুঃখজনক।