এমন অবস্থায় দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে চলমান আইপিএলে’র প্রথম ম্যাচটি যেদিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন নেটিজেনরা। মৃত্যুপুরী নয়াদিল্লিতে আইপিএল আয়োজনের যৌক্তিকতা কোথায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সৌরভের বোর্ডকে আইপিএল বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন একাংশের মানুষ।এবার রাজধানী দিল্লিসহ ভারতজুড়ে আইপিএলের সব ম্যাচ বন্ধের দাবি তুলে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করলেন আইনজীবী করন এস ঠুকরাল। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও সরকার মানুষের স্বাস্থ্য অপেক্ষা আইপিএল’কে কেন অগ্রাধিকার দিচ্ছে, এসব প্রশ্নই আবেদনে ছুঁড়ে দিয়েছেন আইনজীবী ঠুকরাল।আইপিএল নয়, এই স্টেডিয়ামে কোভিড সেন্টারে পরিণত করার আবেদনও করা হয়েছে সেখানে। পিটিশনার করা এস ঠুকরাল এবং ইন্দর মোহন সিং গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার, বিসিসিআই, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘ভারতের রাজধানী শহরে যখন সাধারণ মানুষ হাসপাতালে বেড পাচ্ছে না, শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে স্থান সংকুলান হচ্ছে না, মুমূর্ষু রোগীর জন্য অক্সিজেনের এবং ওষুধের আকাল সেখানে আইপিএলের ম্যাচ সাধারণ মানুষের মানসিক স্থিতি নষ্ট করছে। বিশেষ করে যারা তাদের প্রিয়জনদের জীবন বাঁচাতে উদ্যত। ’সাধারণ মানুষের দুর্দশা যাতে কমে তাই প্রয়োজনে সংকটের মুহূর্তে কোভিড-কেয়ার সেন্টারে রূপ দেওয়ারও আবেদন করা হয়েছে।পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে এই উদাসীনতা রাজ্য সরকারের অসংবেদনশীলতার পরিচায়ক এবং ক্রমেই তারা মানুষের আস্থা হারাচ্ছেন এই ঘটনায়। মহামারীকে আটকাতে সরকারের বেপরোয়া এবং উদাসীন মনোভাব এটাই প্রমাণ করে যে সরকার অন্ধ হয়ে বসে রয়েছে। সবমিলিয়ে পিটিশনারদের কথায়, এই সময় আইপিএল আয়োজন মানে সাধারণ মানুষের চরম দুর্গতিকে বিদ্রুপ করা। আগামীকাল বুধবার (৫ মে) দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনের ভিত্তিতে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।