নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১৩তম দিন মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) তিনি অনেকটা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক টিমের সদস্য প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. জাহিদ বলেন, বুধবার (২১ এপ্রিল) দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্তের ১৩তম দিন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে গত প্রায় ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে তার শরীরে কোনো জ্বর আসেনি। আমাদের চিকিৎসক টিমের প্রফেসর ডা. সিদ্দিকী সাহেবও বলেছিলেন, চলমান ৪৮ ঘণ্টা খুবই ক্রুশিয়াল। অর্থাৎ বুধবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের ক্রুশিয়াল টাইম। এ অবস্থায় আজকে পর্যন্ত তার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন খুবই ভালো আছে। খাবার রুচি আগের মতই আছে। কাশি, গলাব্যথা কখনোই ছিল না, সেটি এখনও নেই। উনি অন্যদিনের চেয়ে আজকে অনেকটা ভালো বোধ করছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এ অবস্থায় উনার চিকিৎসা যা চলছে সেটাই চলবে। পরবর্তীতে ১৪তম দিন (বুধবার) পার হওয়ার পর আবার মেডিক্যাল বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তিনি বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব সার্বক্ষণিক চিকিৎসার খোঁজ-খবর রাখছেন। সেসঙ্গে উনার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান ম্যাডামের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক সমন্বয় করছেন। দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ দলের লাখো নেতাকর্মী ম্যাডামের চিকিৎসার ব্যাপারে উদগ্রীব। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কোটি কোটি মানুষ ওনার জন্য দোয়া করছেন। আবারও তিনি আপনাদের অনুরোধ করেছেন তার সুস্থতার জন্য যাতে দেশবাসী দোয়া করেন এবং দেশের সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হলে চার সপ্তাহের মধ্যে টিকা দেওয়া যায় না। ডা. জাহিদ বলেন, উনি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রাখতে হবে। আর এই মাসটা (এপ্রিল) পুরোটাই সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে হবে। কারণ আপনারা জানেন অনেক করোনা রোগীর কিন্তু দুই সপ্তাহে নেগেটিভ হয় না। চার সপ্তাহ লাগে। ওনার চেয়ে যাদের বয়স কম তাদেরও এ ধরনের ঘটে। সুতরাং চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে হবে।এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য ডা. মোহাম্মদ আল মামুন ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।