সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আরও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।জেলার দিরাই ও শাল্লার বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার রাতভর সাড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।শনিবার (২০ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।এ নিয়ে দুইটি মামলায় মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হলো। মামলায় নাম থাকা আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত সোমবার (১৫ মার্চ) দিরাইয়ে আসেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন। এরপর মঙ্গলবার শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামে এক যুবক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী কথা বলায় মামুনুল হকের সমালোচনা করেন তিনি। এ ঘটনায় ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে রাতেই আপনকে গ্রেফতারের দাবিতে ওই এলাকার হেফাজত নেতার অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাতেই ঝুমন দাস আপনকে আটক করে। পুলিশ আপনকে আটক করলেও বুধবার সকালে আপনসহ ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশকিছু লোকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেন মামুনুল হকের অনুসারীরা। তবে হামলাকারীদের আসতে দেখে নোয়াগাঁও গ্রামের নারী-পুরুষ গ্রাম ছেড়ে হাওরে চলে যায় ফলে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।