ঢাকা: প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে কানাডায় পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ২০১৯ সালে অল্পের জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশের হাত থেকে ফসকে গিয়েছিলেন।তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠি ইমিগ্রেশন পুলিশ হাতে পাওয়ার দুইঘণ্টা নয় মিনিট আগেই পিকে হালদার বেনাপোল দিয়ে বিদেশ চলে যান।আর এ ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেলে।সোমবার (০১ মার্চ) এমন তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ২১ জানুয়ারি হাইকোর্ট পাসপোর্ট জব্দে আদেশ থাকার পরও প্রশান্ত কুমার হালদার কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেলো তা জানতে চেয়েছিলেন। একইসঙ্গে পিকে হালদারের মামলার সর্বশেষ অগ্রগতিও জানাতে চেয়েছেন আদালত। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়।এ আদেশের পর ইমিগ্রেশন পুলিশ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে তথ্য প্রেরণ করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক তথ্য পেয়ে বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের ভাষ্যমতে পিকে হালদারসহ কয়েকজন যেন বিদেশ যেতে না পারে সে বিষয়ে ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর দুদক ডাকযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশকে একটি চিঠি পাঠায়।ওই চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখা হাতে পায় ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায়। ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য মতে পিকে হালদার শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে যায়নি। যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে সড়কপথে দেশ ত্যাগ করেছে। সেটা ২৩ অক্টোবর ৩টা ৩৮ মিনিটের সময়। অর্থাৎ চিঠি পাওয়ার আগেই তিনি (পিকে) চলে গেছেন। আর ইমিগ্রেশন পুলিশ চিঠি পাওয়ার পর বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটের দিকে সকল বন্দরে পাঠিয়েছে যাতে সে দেশ ত্যাগ করতে না পারে। ‘চিঠিতে পিকে হালদারের পাসপোর্ট নম্বর ছিল না। শুধু নাম ছিল’, যোগ করেন আমিন উদ্দিন মানিক। ১৫ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি হবে।