আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আরও প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছেন দেশটির শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনে সমাবেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে করে সামরিক শিক্ষা প্রচারকারী টেক্সট বই নিয়ে আসতে বলেছেন যেন প্রতিবাদস্থলে সেগুলো ধ্বংস করা যায়। দেশটির অনেক পেশাজীবী ও সরকারি কর্মচারীরাও আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। কথিত ‘হোয়াইট কোট বিপ্লবের’ অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদেরও একটি প্রতিবাদ আয়োজনের কথা রয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। এদিকে মালয়েশিয়া বুধবার মিয়ানমারের প্রায় ১১০০ নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফেরত পাঠানো এসব নাগরিকরা শনিবার মিয়ানমার পৌঁছবেন বলে দেশটির নৌবাহিনীর ফেইসবুক পেইজের এক পোস্টে বলা হয়েছে। মিয়ানমারের গত ৮ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) বড় ধরনের জয় পেয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতি করা হয়েছে অভিযোগ করে চলতি মাসের শুরুতে এনএলডিকে হটিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং সু চিসহ দলটির নেতৃবৃন্দকে আটক করে। তারপর থেকে গত তিন সপ্তাহ ধরে দেশটিতে প্রতিদিন সামরিক শাসন বিরোধী প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার অধিকার আন্দোলনকারী একটি গোষ্ঠী জানিয়েছে, প্রতিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কারণে এ পর্যন্ত ৭২৮ জনকে গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত বা সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে মিয়ানমার প্রায় অর্ধ শতাব্দি ধরে সরাসরি সামরিক শাসনাধীনে ছিল। ওই সময় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে দমন করা হয়েছিল। সেই তুলনায় এবার দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো অনেক সংযতভাবে প্রতিবাদ মোকাবেলা করছে। প্রতিবাদ মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ গণতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করছে এবং পুলিশ নূন্যতম শক্তি ব্যবহার করছে, চলতি সপ্তাহে দেশটির সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এমনটি বলেছেন বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তারপরও প্রতিবাদ সমাবেশগুলোকে ঘিরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত তিন বিক্ষোভকারী ও একজন পুলিশ নিহত হয়েছেন।