ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যতটা না ভোটারদের নজর কাড়তে পেরেছিল, তার চেয়ে বেশি নজর কেড়েছিল কাউন্সিলর পদে শ্বশুর-জামাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাদের এ প্রতিদ্বন্দ্বিতার রেশারেশিতে বাবাকে না স্বামীকে ভোট দেবেন, তা নিয়ে দোটানায় পড়েন মেয়ে লিজা।সব শেষে একুল ওকুল হারানোর ভয়ে ভোটই দেননি তিনি। এ দিকে বিকেলে ভোট গণনা শেষে জানা যায়, মেয়ের জামাতাকে পরাজিত করে কাউন্সিলর হয়েছেন শ্বশুর। পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে লড়েছিলেন শ্বশুর বাবুল মিয়া। তার অন্যতম প্রতিপক্ষ জামাতা হুমায়ুন কবির পেয়েছিলেন পানির বোতল প্রতীক। এর পরই থেকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরো জমে ওঠে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে এক হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শ্বশুর বাবুল মিয়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামাই হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ৮৪৭ ভোট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার কামাল আহমেদ খান।বিজয়ী হওয়ার পর শ্বশুর বাবুল মিয়া জানান, আমি আমার মেয়ের জামাইকে নিজের ছেলের মতো দেখেছি, এখনো তাই দেখবো। আমি তাকে কলিজার টুকরো মনে করেছি, এখনো তাই মনে করি। এতে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হবে না। জামাই তো জামাই-ই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ভোট কেন্দ্রেই আসেনি। তাই নিজের বাবা বা স্বামী কাউকেই ভোট দেয়নি সে। উট প্রতীক নিয়ে এ ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী মো. দেওয়ান সাদ্দাম পেয়েছেন ৬৮ ভোট।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।