নিজস্ব প্রতিবেদক ; পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে ডিজি লেভেলের বৈঠক হবে। আর কিছু রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার। গতকাল রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, তারা কিছু রোহিঙ্গা ফেরত নেবে। আমরা তাদের ইতোমধ্যেই ৮ লাখেরও বেশি একটা তালিকা দিয়েছি। তারা মাত্র ৪২ হাজার ভেরিফাই করেছে। আর আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে ডিজি লেভেলের বৈঠক হবে। সেখানে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আমরা চাই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হোক। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ-কুয়েত সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এমপি পাপুলের ঘটনা ও সাজা দুঃখজনক। তবে তার এই সাজায় বাংলাদেশ-কুয়েত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। কেননা আমাদের সঙ্গে কুয়েতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অনেক ভালো। এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন জানান, এমপি পাপুলের বিষয়ে কুয়েত সরকার থেকে সরকারিভাবে আমরা এখনো কোনো তথ্য পাইনি। কুয়েত সরকার থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে সেটা আমরা আমাদের পার্লামেন্টকে দেবো, আমাদের সরকারকে জানাবো। তখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সেখানে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য বলেছি। তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের ফৌজদারি আদালত মানব ও অর্থপাচারের দায়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল (৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। পাপুলের সঙ্গে কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওথমান সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জারাহকেও চার বছরের কারাদণ্ড ও ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল জরিমানা করেছে। মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে গত বছর ৬ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ। তিনি তারপর থেকেই সে দেশের কারাগারে আটক ছিলেন। ছয়মাস বিচার প্রক্রিয়া শেষে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়।