নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের উন্নয়ন ও অর্জনের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা শহরের চেহারার কোনও মিল নেই বলে স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘রাজধানীকে গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটি হিসেবে দেখতে চাই। এর জন্য যা যা করার সবই করবে সরকার।’ এটিকে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সামগ্রিক বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। গতকাল রোববার ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর বোর্ড সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে যদি পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারি, তাহলে ঢাকাকেও সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।’ তিনি ঢাকার দুই মেয়রকে এ বিষয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান। নিউমার্কেট মোড়, পল্লবীসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে ডিএমপির সহযোগিতা নিয়ে দুই মেয়রকে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফুটপাত উদ্ধারের কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে।’ মন্ত্রী রুট পারমিটের বিষয়ে বিদ্যমান আইন-বিধি পর্যালোচনা করে নতুন প্রস্তাব তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘নির্মাণাধীন বিআরটিএ’র কাজ দ্রুত শেষ করে জনভোগান্তি কমাতে হবে।’ কাদের বলেন, ‘মোটরসাইকেলে হেলমেট যারা পরবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কোনোভাবেই রাজনৈতিক বিবেচনা এ ক্ষেত্রে আনা যাবে না।’ গাড়িতে অবৈধভাবে যারা হুটার ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি নারায়ণগেঞ্জের জন্য মাল্টি মডেল হাটের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তেজগাঁয়ের ট্রাক টার্মিনালে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগ বাস্তবায়নে নতুন করে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘এই ট্রাক স্টান্ডের যানজট অবশ্যই কমাতে হবে।’ এ সময় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মেয়র, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেতু সচিব বেলায়েত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।