মিরপুর সেনানিবাসে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসিতে এ গ্রাজুয়েশন সেরেমনিতে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার কোভিড-১৯ মহামারির জন্য স্কুল খুলতে পারছে না। অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিশুরা যদি স্কুলে যেতে না পারে তবে এটি তাদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করে। সরকার যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
সরকার কবে নাগাদ স্কুল খুলবে নাকি আরও বাড়াবে এ বিষয়ে কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী।
করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে সবাইকে সর্তক করেন।
‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও এ সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি আমার সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে প্রতিঘাত করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, এই কথাটা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমরা রাখবো। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। কিন্তু কেউ যদি আমার সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে, প্রতিঘাত করার মতো সক্ষমতা আমরা যেন অর্জন করতে পারি। সেভাবে আমাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ কথাটা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যকে সদা মনে রাখতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় শান্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমরা শান্তি চাই। যেমন মিয়ানমার থেকে আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের নাগরিকরা। প্রায় ১০ লাখের ওপরে। আমরা তাদের সঙ্গে কখনো সংঘাতে যাইনি। কিন্তু আলোচনা করে এটা সমাধানের চেষ্টা করছি এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সবাইকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি, এই বিশাল একটা বোঝা আমাদের ওপর, এটা যেন খুব দ্রুত তারা সমাধান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুব স্পষ্ট। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এ পররাষ্ট্রনীতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন। আমরা সেটাই মেনে চলছি।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, সাধুবাদ জানাই সশস্ত্র বাহিনীকে কারণ আমি দেখেছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যেকোনো সময় সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়ান। বিশেষ করে এবার কোভিড-১৯ এর সময় ব্যাপকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আপনারা সেবা দিয়েছেন। নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা। এর সুফল প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছাতে চাই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সরোয়ার হাসান।