নিজস্ব প্রতিবেদক : সিএস খতিয়ান অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের (ডিএসসিসি) ১১টি খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এসব খালের সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ এবং খালগুলো পরিষ্কার করা হবে। এতে নগরে জলাবদ্ধতা হবে না। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ত্রিমুহনী জিরানী খাল ও শ্যামপুর খালের চলমান বর্জ্য অপসারণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সম্প্রতি ঢাকার খালগুলো ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় যে ১১টি খাল রয়েছে সেই খালগুলো পুনরুদ্ধার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই নিজ অর্থায়নেই এই খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার করবো। তিনি আরও বলেন, এই ১১টি খাল নিয়ে স্বাল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম নিজ অর্থায়নেই শুরু করেছি। পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা নেয়া হবে। এর মাধ্যমে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে পারবো। খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা ওয়াসার যেসব জনবল ও যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, যেটুকু জনবল ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে নওয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শ্যামপুরে খাল পরিদর্শনের সময় ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।