আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের গুলি বিনিময়ে ১০ বেসামরিকসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশ দুটির কর্মকর্তারা। শুক্রবার পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের বাহিনী কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে পাকিস্তান থেকে একটি অবৈধ অনুপ্রবেশ চেষ্টা বানচাল করে দেওয়ার পর থেকেই লাইন অব কন্ট্রোলের বেশ কয়েকটি অংশে মর্টার ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে ভারতীয় বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা জানিয়েছে। গুলি বিনিময়ে ভারতের অংশে ৬ বেসামরিক, ৩ সৈন্য এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক সদস্যসহ ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের অংশে ৪ বেসামরিক ও এক সৈন্যের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। কাশ্মীর সীমান্তে প্রায়ই ভারত ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার গোলাবর্ষণের তীব্রতা ছিল ব্যাপক। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে গোলা ছোড়ার অভিযোগ এনেছে। “প্রতিবারের মতোই এবারও তারা কোনো ধরনের অনুশোচনা ছাড়াই বেসামরিকদের এলাকাগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে,” বলেছেন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সরকারি কর্মকর্তা সৈয়দ শহীদ কাদরি। শুক্রবারের গোলাগুলিতে পাকিস্তান অংশে নিহত বেসামরিকদের মধ্যে এক নারীও আছে; আহত হয়েছে অন্তত ২৭ জন। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তানের দিক থেকে ছোঁড়া গোলায় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যারা নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে ৮ বছর বয়সী একটি শিশুও আছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরির এক বাসিন্দা মুখতার আহমাদ জানান, সীমান্তের কাছে বিকট বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর তাদের পাহাড়ি ছোট শহরেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। “সীমান্ত এলাকাার বেশ কয়েকটি পরিবার পালিয়ে উরি শহরে এসে আশ্রয় নেয়,” বলেছেন তিনি। চলতি বছর সীমান্তে পাক-ভারত সৈন্যদের গুলিতে ৪০ এরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে দুই দেশের সরকারি তথ্যে জানানো হয়েছে। হতাহতের পরিমাণ দুই পক্ষেই প্রায় সমান সমান।