ঢাকা: সৌদি সরকার শর্তসাপেক্ষে পবিত্র ওমরা চালুর ঘোষণার পর বাংলাদেশ সরকার হিজরি ১৪৪২ (২০২০-২০২১) সালের ওমরা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে আগ্রহী বৈধ ওমরা এজেন্সির তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ লক্ষ্যে বুধবার (৪ নভেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ওমরা এজেন্সিগুলোকে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ধর্ম সচিব বরাবর নিজস্ব প্যাডে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে যেসব ওমরা এজেন্সির নবায়নের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অথবা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর বা নিকটবর্তী সময় উত্তীর্ণ হবে সেসব ওমরা এজেন্সিকে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে নবায়ন ফি ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ প্রযোজ্য অর্থ এবং অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কারণে ওমরা এজেন্সির ট্রাভেল সনদ বাতিল করা হলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ওই এজেন্সির লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চারটি ধাপে ওমরা পালনের জন্য মসজিদুল হারাম এবং রাসুল (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারতের জন্য মসজিদে নববী খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সৌদি আরব জানায়, ৪ অক্টোবর থেকে প্রথম ধাপে শুধু সৌদির অভ্যন্তরে বসবাসরত সৌদি নাগরিক এবং বিদেশিরা স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে ওমরাহ পালন করতে পারবেন। তবে দৈনিক ৬ হাজারের বেশি নয়।
আর ১৮ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় ধাপে শুধু সৌদির অভ্যন্তরে বসবাসরত সৌদি নাগরিক এবং বিদেশিদের ওমরাহ পালনের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তা হবে ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশ।
১ নভেম্বর থেকে তৃতীয় ধাপে সৌদির অভ্যন্তরে এবং বাইরের সৌদি নাগরিক ও বিদেশিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওমরাহ করতে পারবেন (ধারণক্ষমতার শতভাগ)।
‘করোনার বিপদ শেষ হয়েছে’ এমন ঘোষণা দেওয়ার পর শুরু হবে চতুর্থ ধাপ। এ ধাপে স্বাভাবিক সময়ের মতোই সব দেশের মুসলিমরা ওমরাহ পালন করতে পারবেন।