গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার লিয়ন মিয়া (২৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গাইবান্ধার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম লিয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার খোলাহাটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লিয়ন সদর উপজেলার খামার টেংগরজানী গ্রামের সাহেব মিয়ার ছেলে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, ওই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে বুধবার (২১ অক্টোবর) সকালে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই অভিযুক্ত লিয়নকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। অবশেষে দিনগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার খোলাহাটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দেন লিয়ন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার খামার টেংগরজানী গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। লিয়ন মিয়া নির্যাতিতা ছাত্রীটির সম্পর্কে চাচা।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিবেশী সাহেব মিয়ার ছেলে বখাটে লিয়ন মিয়া সম্পর্কে চাচা হলেও দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
লিয়নের পরিবারকে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় ওই কিশোরী পাশের বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। রাত ৮টার দিকে সে ঘরের বাহিরে বের হলে ওৎ পেতে থাকা লিয়ন মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী মামুন মিয়ার একটি নির্মাণাধীন ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তখন মেয়েটি চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। ধর্ষণের পর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জীবননাশের হুমকি দিয়ে লিয়ন পালিয়ে যান।
এরপর ওই কিশোরী রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করলে ঘটনাটি জানতে পারে তার পরিবার। পরে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।