নোয়াখালীর একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার পর বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরীকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা জানান, ডিআইজি অফিস থেকে পাঠানো পত্রে ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরীকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে ডিআইজ অফিসে যোগদান করতে বলা হয়। মঙ্গরবার এ আদেশ পাওয়ার পর পরই তা বস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ওসি হারুন শিগগিরই নতুন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মূল হোতা দেলোয়ার বাহিনী প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে নির্যাতিন ওই নারীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্ণোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
দেলোয়ারকে সকাল সাড়ে ১১টায় জেলার ১ নং আদালতে উপস্থাপন করে উল্লেখিত দুই মামলায় শোন এরেষ্টের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী। এ বিষয়ে শুনানী শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হক তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে দেলোয়ারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর দায়ের করা অন্য একটি মামলায় দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলার প্রধান আসামী সে।
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ৬ নম্বর আসামী শামছুদ্দিন সুমনকে একই আদালতে উপস্থাপন করে তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার অপর আসামি ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।
দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্ণোগ্রাফি মামলার ৩ নম্বর আসামি আবুল কালামকে আদালতে তোলা হয়। বিকেলে তাকে বিচারকের খাস ক্যামেরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিচারক ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবনবন্দি রেকর্ড করছেন।