কক্সবাজারের টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে ১২ কিলোমিটার অদূরে মিয়ানমার থেকে এসে অপহৃত সাত মাঝি-মাল্লাকে মুক্তিপণ আদায়কালে পাঁচ রোহিঙ্গা ডাকাতকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা। এসময় তাদের ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সোমবার ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া বড়ডেইল সংলগ্ন এলাকার সাগরে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের আটক করে অপহৃত মাঝি-মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেঃ আমিরুল হক বলেন, মিয়ানমার থেকে এসে একদল ডাকাত স্থানীয় সাত মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করে, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে। এ খবরে সোমবার ভোরে তিনিসহ কোস্টগার্ডের একটি দল টেকনাফের বাহারছড়া বড় ডেইল সংলগ্ন সাগরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অপহরণকারীরা কোস্ট গার্ডের উপর লম্বা কিরিচ ছুড়ে মারে। এতে কোস্টগার্ডের এক সদস্য আহত হয়ে সাগরে পরে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে কোস্টগার্ড আত্মরক্ষার্থে গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ট্রলারসহ ৫ অপহরণকারী ডাকাতদের আটক করতে সক্ষম হয়। তারা হলেন, মোঃ বাকগুল্লাহ (২২), মোঃ শুক্কুর (২০), রবি আলম (২২), নুরুল আমিন (৩০) ও শফি আলম (২০)। তাদের স্বীকারোক্তিতে ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বড়-ছোট ১০টি কিরিচ পাওয়া যায়। তারা স্বীকার করেছে মিয়ানমার থেকে এসে বাংলাদেশি মাঝি-মাল্লাদের নৌকা ডুবিয়ে দিয়ে তাদের অপহরণ করে স্বজনদের থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিলো।
উদ্ধার হওয়া মাঝি-মাল্লাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অহপরণকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।