শতশত বাড়ি-জমি ভয়াবহ নদী ভাঙনে বিলীন

শতশত বাড়ি-জমি ভয়াবহ নদী ভাঙনে বিলীন

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে পঞ্চম দফার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শতশত ঘরবাড়ি ও ফসসি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন এলাকার মানুষ।অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

একদিকে পাঁচ দফা বন্যার ক্ষতি, তার ওপর নদী ভাঙন যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক ধারদেনা করে বন্যা শেষ হলে দ্বিতীয় দফা আমন আবাদ করেন। কিন্তু সেগুলো চতুর্থ ও পঞ্চম দফার বন্যায় ডুবে যাওয়ায় তাদের কষ্ট আরও বেড়ে গেছে। ফলে কীভাবে তারা পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবেন তা নিয়ে এখন তারা চিন্তিত।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলার ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদের ৬৩টি পয়েন্টে নদনদীর পানি কমার ফলে প্রচণ্ড নদীভাঙন চলছে। তিস্তা নদীর প্রবল স্রোতের তোড়ে উলিপুরের বজরা ইউনিয়নের গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ এলাকার কুড়িগ্রাম অংশে প্রবল নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকায় প্রায় ৪ থেকে ৫০০ মিটারজুড়ে চলছে তীব্র নদী ভাঙন। ফলে সেখানে গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে চলে গেছে কয়েক শতাধিক ঘর বাড়ি, ফসসি জমি ও স্থাপনা।

অন্যদিকে সদর উপজেলার ভোগডাঙার পাটেশ্বরীতে ও হলোখানার চর সুভারকুটিতে তীব্র নদীভাঙন চলছে। সেখানেও প্রায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এসব এলাকায় প্রতিদিন নদীভাঙনে বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দিরসহ ফসলি জমি চলে যাচ্ছে।

নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জে ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কয়েকটি এলাকায় দুধকুমর নদীর ভাঙনে অনেকের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, পানি আরও কমলে প্রায়োরেটি বেজে ঝুঁকিপূর্ণ নদী ভাঙন এলাকায় ম্যাসিভ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হবে। উলিপুরের কাশেমবাজার এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। তবে তাও সেটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেখানে জিও টিউব দিয়ে রক্ষা করতে পাইলট প্রোগ্রাম শিগগির নেয়া হবে।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

১৬৯ কর্মচারিকে চাকরিচ্যুত করলো রাসিক

মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচি-৩ পরকল্পের চেক বিতরণ