ছাড়পত্র ইস্যু বন্দরে আসা ১০০৬ টন পেঁয়াজের

ছাড়পত্র ইস্যু বন্দরে আসা ১০০৬ টন পেঁয়াজের

চট্টগ্রাম: মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ১ হাজার ৬ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত আমরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে আসা ১ হাজার ৬ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছি।

পাইপলাইনে আরও পেঁয়াজ আছে।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত এ কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৫৭ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৩৫১টি অনুমতিপত্র (আইপি) নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চীন, মিশর, তুরস্ক, মায়ানমার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ভারত (২০০ টন) ও পাকিস্তান- এ ১২ দেশ থেকে এসব পেঁয়াজ আনছেন তারা।

দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে এসব চালান দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ ৮০ টাকা

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়ত মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ের মালিক হাজি মিন্টু সওদাগর বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ভারত রফতানি বন্ধের পর দেশি ও মিয়ানমারের পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে খাতুনগঞ্জের আড়তে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০-৮৫ টাকা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০-৮২ টাকা। বৃহত্তর পাবনা ও ফরিদপুর থেকে দেশি পেঁয়াজ আসছে। সেখানে প্রতি মণ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা বেশি।
তিনি জানান, দাম বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ কম কিনছেন খুচরা দোকানি বা পাইকারি ক্রেতারা। তাদের আশঙ্কা বেশি দামে পেঁয়াজ কেনার পর যদি মিশর, তুরস্ক, চীনের পেঁয়াজে বাজার সয়লাব হয় তখন লোকসান দিতে হবে।

খুচরায় পেঁয়াজ ৮৫-৯০ টাকা

চট্টগ্রামের অলিগলি ও বিভিন্ন বাজারের খুচরা মুদি দোকানিরা প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৮৫-৯০ টাকা।
কাজীর দেউড়ি এলাকার একজন দোকানি জানান, ছোট আকারের বেশি ঝাঁজের পেঁয়াজ। দামও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। তাই ক্রেতারা আগে যদি ৫ কেজি কিনতেন এখন কিনছেন ১ কেজি।

টিসিবির ট্রাক কমলো

টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান জামাল উদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ভারতের পেঁয়াজ না থাকায় এখন টিসিবির ট্রাকে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকা দামে একজন ভোক্তাকে ১ কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, নগরের বিভিন্ন স্পটে ৮টি ট্রাকে পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ সংকটের শুরুতে চট্টগ্রামে ২০টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও টিসিবি এখন তা ৮টিতে নামিয়ে এনেছে।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন