লিবিয়ার মিজদাহ শহরে পাচারকারীদের গুলিতে আহত নয় বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আইওএম-এর সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে এনেছে সিআইডি।
লিবিয়ার মিজদা শহরে গত ২৯ মে মানবপাচারকারীদের হাতে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ২৬ বাংলাদেশি। আরও তিনজন ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। গত মে মাসে মিজদাহর ওই নৃশংস ঘটনায় নিহত হন ২৬ বাংলাদেশি।
দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সেদিনের ঘটনা তুলে ধরে ফিরোজ বেপারি বলেন, তার শরীরে পাঁচ-ছয়টি গুলি লাগে। শারীরিক ও মানসিক ক্ষতের কারণে স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে গেছে তার।
গুলিতে আহত জানু বেপারি জানান, লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর থেকেই সেখানকার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েন তারা। তারপর কয়েক দফা বিক্রি করা হয় তাদের। নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরেছেন তারা।
লিবিয়ায় নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসা ফিরোজ বেপারী বলেন, ‘আমি ওই রাত থেকে আর ঘুমাতে পারি না। ঘুমাতে গেলে গুলির আওয়াজ কানে আসে। ঘুমাতে কষ্ট হয়।’
লিবিয়ায় নির্যাতনের শিকার জানু মিয়া জানান, ‘আমাদের মারধোর করে। আফ্রিকার আরেকজন পিটিয়ে মেরে ফেলে রেখে আমাদের দেখিয়ে বলে, যদি টাকা না দিস তবে তোদের এই অবস্থা হবে।’
সিআইডি জানিয়েছে, এই ঘটনায় ৪৪ জন বাংলাদেশি দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও দশ-বারোজনকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার প্রক্রিয়া চলছে।