সমাচার ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে।
শনিবার বিকেলের দিকে দাফনের আগে হাদিকে শেষবারের মতো বিদায় জানানো হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সেখানে অবস্থানরত সবাই। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ওসমান হাদির লাশ দাফনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হয়।
শনিবার দুপুরে জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় হাদির লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। এর আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শরীফ ওসমান হাদির লাশ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নেওয়া হয়।
শনিবার বেলা ১১টা ৪৫ তিনিটে হাদির ময়নাতদন্ত শেষ হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ এলায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. আব্দুল আহাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক ওসমান হাদি। গতকাল সন্ধ্যায় ৬টার দিকে বাংলাদেশে পৌঁছে হাদির লাশ। পরে সেটি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমাগারে রাখা হয়।
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরে গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির মৃত্যু হয়।
..