নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বপ্ন ছাড়া বাঁচে কয়জন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে স্বপ্নকে পুঁজি করেই মানুষ বেঁচে থাকে।
অথচ আমাদের পাশেই হয়ত কোনো এক শিশু রাস্তায় অসহায়ের মতো পড়ে আছে। মনে হয়, স্বপ্ন দেখার অধিকার যেন তাদের নেই।
শিশুদের বেঁচে থাকার কিংবা স্বপ্ন দেখার অধিকার সবচেয়ে বেশি। আপন তুলিতে নিজের জগৎটাকে রঙিয়ে দেওয়ার অধিকার সব শিশুরই আছে।
কিন্তু দারিদ্র্যতার আঘাতে তাদের মনের রঙগুলো যেন ফিকে হয়ে পড়ছে। হয়ত সে শিশুটি স্বপ্ন কি তাই জানে না।
এমনই সব শিশুদের স্বপ্ন দেখাতে কাজ করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা রনি। শিশুদের নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। এমন ইচ্ছা থেকেই জন্ম হয় তার পথশিশুদের নিয়ে পাঠশালা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রনি বলেন,আড্ডা দিতে গিয়ে দেখতাম অনেক শিশুরা ফুল বিক্রি করছে, পানি বিক্রি করছে। এগুলো দেখে ভাবতাম, আমরা তো অনেক সুখেই আছি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পড়াশোনা করেছি। অথচ আমাদের আশেপাশেই রয়েছে অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিত শিশু। এসব শিশুদের জন্য কিছু করতে হবে। এমন ভাবনা থেকেই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ হৃদয়ে ধারণের মধ্য দিয়ে, অসহায় বিপর্যস্ত মানুষের সেবার পাশাপাশি, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত পথ শিশুদের সপ্তাহে তিন দিন প্রাথমিক পাঠ দান করানোর সিদ্ধান্ত নিই। বর্তমানের আজিমপুর সরকারি কলোনির মাঠে সান্ধ্যকালিন স্কুলে প্রায় ২১ জন পথশিশু পড়াশোনা করে।
করোনার পরপরই শুরু হয় ছাত্রদল নেতা রনির এই পাঠশালা। নিজের হাত খরচের টাকা সঞ্চয় করে তিনি এই স্কুল পরিচালনা করেন। মাঝে মধ্যে নতুন বই বিতরণ করেন।
স্কুলে পড়ানো হয় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত। সুবিধাবঞ্চিত অসংখ্য শিশুদের স্বপ্ন দেখাতে চায় ছাত্রদল নেতা রনি। শিক্ষা ছাড়া দেশকে বদলে দেওয়া অসম্ভব। এজন্য শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। একটি শিশুও যেন শিক্ষা অভাবে না ভোগে। এমনই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।