বিদ্যালয়ের অঙ্গীনার সড়ক দখল করে ধানের ব্যবসা জীবন ঝুঁকিতে শিক্ষার্থী সহ পথচারী 

বিদ্যালয়ের অঙ্গীনার সড়ক দখল করে ধানের ব্যবসা জীবন ঝুঁকিতে শিক্ষার্থী সহ পথচারী 
রবিউল হাসান ডব্লিউ,দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর দশমিনায় বিদ্যালয়ের আঙ্গীনার সড়ক দখল করে ধানের ব্যবসায় জীবন ঝুঁকিতে শিক্ষার্থী সহ পথচারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক,বিদ্যালয়ের আঙ্গীনার রাস্তাজুড়ে ধান ব্যবসায়ীদের যত্রতত্র ধানের বস্তা রেখে ব্যবসায় করছে ধান ব্যবসায়ীরা। এতে করে জীবন ঝুকিতে শিক্ষার্থী সহ পথচারী। বিদ্যালয়ের আঙ্গীনায় ধান ব্যবসায়ীরা দিনেরপর দিন ধান রাখায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলে আতঙ্ক ও  চরম ঝুঁকি বহন করছে। রাস্তার উপর ধানের বস্তা রাখায় যানচলাচলে বেগপেতে হয়। দৈনিক পথচারীরা দূর্ঘটনায় স্বীকার হচ্ছে। ধান ব্যবসয়ীরা রাস্তা দখল করে এবং বিদ্যালয়ের আঙ্গীনায় ধান রাখায় স্থানীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের বহমান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়ক, মসজিদের প্রবেশ পথ এবং বিদ্যালয়ের আঙ্গীনায় ধানের বস্তা রেখে কিছু ধান ব্যবসায়ীরা ধানের ব্যবসা করছে। তেমনি উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌথা গ্রামের ৬৯ নং যৌথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গীনায় সড়ক দখল করে দিনের পর দিন রাখা হয়েছে ধানের বস্তা। বিদ্যালয়ের আঙ্গীনায় ধানের বস্তা রেখে  ধানের ব্যবসা করছে জনৈক জাফর কাজী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ এলাকার লোকদের কথায় কর্নপাত করছেননা তিনি। এতে সড়কে ধানের বস্তা রাখায় দৈনিক ঘটছে দূর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক ইসমাইল জানান, এই রাস্তা দিয়ে ঢাকাগামী পরিবহন সহ স্থানীয় যানচলাচল করে দৈনিক এখানে সাধারণ দূর্ঘটনা ঘটছে।  জাফর কাজী প্রায় তিন বছর এভাবে ধান রেখে ব্যবসা করে। আমরা অনেকবার বলছি ধানের বস্তা না রাখার জন্য। আমাদের কথার কোন গুরুত্ব দেয়না। জাফর কাজী গায়ের জোর খটিয়ে এ ব্যবসা করে আসছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
ধানব্যবসায়ী জাফর কাজীকে বিদ্যালয়ের আঙ্গীনায় রাস্তা দখল করে ধানের বস্তারাখায় বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন দূর্ঘটনা ঘটবেনা জাল দিয়ে বেঁধে রাখছি। ধান দুই একদিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলবো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের আঙ্গীনার রাস্তায় এ ভাবে ধানের বস্তা স্তুুব কওে রেখে ব্যবসা করা কোন সচেতন লোকের কাজ নয়। আমি একাধিকবার ধান ব্যবসায়ী জাফর কাজীকে ডেকে এনে এবং বাড়ি গিয়ে বলে আসছি আমার কথার কোন কর্নপাত করেনা।আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি আবহিত করবো।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিটলারুজ্জামান জানান আমি এই শুনলাম। প্রধান শিক্ষক আমাকে জানানো উচিত ছিলো। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::