শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ৪ টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসময় ২ টি ভাটার চুল্লি গুড়িয়ে দেয়াসহ কৃষি জমি থেকে মাটি না কাটার জন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলা কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন এর যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান চালানো হয়।
এতে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুন্না রানী চন্দ নেতৃত্ব দেন। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন
নীলফামারী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।
অভিযানে জরিমানা প্রদানকারী ইটভাটাগুলো হলো উপজেলার খিয়ারজুম্মা এলাকার মো. জোবায়ের হাসানের মেসার্স আল মদিনা ব্রিকস এর ১ লাখ টাকা, মো. নুর আলমের মেসার্স এন এস বি ব্রিকস এর ৫০ হাজার টাকা, এবং কামারপুকুর এলাকার মো. এমদাদুল হকের মেসার্স সোনার বাংলা (জেড স্টার) ব্রিকস এর ১ লাখ টাকা ও মো. আহেদুল হকের মেসার্স এ স্টার বি ব্রিকস এর ৫০ হাজার টাকা।
পরিবেশ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান,
এই ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৫(১) ধারা লংঘনের দায়ে জরিমানার শাস্তি দেয়া হয়েছে। মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটা পরিচালনা না করার জন্যও নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নীলফামারী পুলিশ বিভাগ এবং সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের একদল সদস্য অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আল ইমরান, বগুড়া : বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময় সরকার পরিবর্তন হইলে অনুমোদন বন্ধ হয়। ফলে আলোর মুখ দেখেনি বগুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়,