আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ে আসিনি, আমাদের বাপ-দাদার জমি এখানে আছে”- রাবি কর্মচারী

আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ে আসিনি, আমাদের বাপ-দাদার জমি এখানে আছে”- রাবি কর্মচারী
রাবি প্রতিনিধি: ভিসি -প্রো ভিসি নিজেরাই কোটার সুবাধে চেয়ারে বসে আছে। তারা নির্বাচিত নয়। এই বিশ্ববিদ্যলয়ে আমরা উড়ে আসি নাই। এখানে আমাদের বাপ-দাদাদের জমি রয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে পোষ্য কোটা বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সেখানে এমনসব কথা বলেন
আইন অনুষদের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম সদর।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অধিকার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনে দাড়াতে হবে এটা কখনোই ভাবি নি। এই প্রশাসন নিজেদের চেয়ার কে টিকিয়ে রাখতে যৌক্তিক পাওনা থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছে। প্রশাসনকে বলে দিতে চাই এটা আমদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা। আমরা আমাদের ৫% প্রাতিষ্ঠিক সুবিধা যেকোনো মূল্যে ফেরত চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী, সাধারণ কর্মচারী, পরিবহন কর্মচারী এই আয়োজন করেন।
তাদের দাবি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
এসময় অফিসার্স সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে আমরা কেন আটকে থাকলাম। আমরা এখানে আসি কাজ করতে। আমাদের কেন আটকানো হলো? যেসব বহিরাগতরা আমাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেছে, আমাদের জিম্মি করে রেখেছে তাদের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহাল করতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আমরা আজকে প্যারিস রোডে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছি। আগামীকাল প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমারা ২ ঘন্টার ধর্মঘট থাকবে। এছাড়াও আগামী ৮ তারিখ আমরা সারাদিনব্যাপী কর্মবিরতী পালন করবো। যতদিন পর্যন্ত না আমরা আমাদের অধিকার ফিরত না পায় ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এসময় অফিসার্স সমিতির দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রায় চার শতাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা বাতিল করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে এই কোটা বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::