২০২৪ এ যাদের হারিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

২০২৪ এ যাদের হারিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

ববি প্রতিনিধি:দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন আরেকটি বছর। এরইমধ্যে অনেকে নতুন বছরের পরিকল্পনাও সাজাতে বসে গেছে। আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশায় ভেলায় চড়ে সবাই ২০২৪ সালকে বিদায় জানাতে যখন প্রস্তুত তখন একটু পেছন ফিরে দেখা যাক ফেলে আসা দিনগুলো।

চলতি বছর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় হারিয়েছে বেশ ক’জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে। যারা কোনোদিন ফিরবেন না। চিরদিনের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। চলতি বছরে ঘটে যাওয়া সেই হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলো নিয়ে এই প্রতিবেদন।

বছরের শুরুর দিকে (১৭ জানুয়ারী) রাতে মেসের নিজ কক্ষে বৃষ্টি সরকার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত শিক্ষার্থী বৃষ্টি সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সাতক্ষীরায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্ণকাঠির এমএম টাওয়ারের ষষ্ঠতলায় একটি মেসে থাকতেন।

৯ জুন রাত ১১টার দিকে শেফা নূর ইবাদি নামের
এক ছাত্রীকে হলের পাঠকক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। শেফা নূর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষে পড়তেন। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বঙ্গমাতা হলের ১৪১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

৬ সেপ্টেম্বর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অর্পনা দাস শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাড়িতে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ করেন। হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

৩০ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম । বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাসচাপায় তিনি নিহত হন। এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।

এছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহে ছয়টি দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও মাইসা ফৌজিয়া মিম।

এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে গভীর শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::