চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন ফি শিক্ষার্থীবান্ধব রাখার দাবি ছাত্রদলের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন ফি শিক্ষার্থীবান্ধব রাখার দাবি ছাত্রদলের

জাহিন ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ২০২৫ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দেশের অন্যতম স্বায়ত্তশাসিত বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন কার্যক্রম। যাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে প্রতি ইউনিট ও উপ-ইউনিটে আবেদনের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০০ টাকা। যা বর্তমান উর্ধ্বগতির বাজার ব্যবস্থায় অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বোঝা স্বরূপ।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ভর্তি আবেদন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের নিকট।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার দাবি প্রসঙ্গে চবি ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান এর স্বাক্ষরিত চবি ছাত্রদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠবে কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় ভর্তি আবেদন ফি আদায় শিক্ষাকে যেমন বাণিজ্যিকীকরণ করে তেমনি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের উপর একটি বড় আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। উচ্চশিক্ষায় সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবের ইঙ্গিত দেয়। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি জুলুম এবং স্বপ্ন পূরণে বড় বাধা।

এই বিষয়ে চবি ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন বলেন, ১০০০ টাকা একজন ভর্তি পরিক্ষার্থীর জন্য অনেক বেশি। তাকে অনেক কিছুর মধ্যে খরচ জোগাড় করে চলতে হয়। পড়ালেখা, বইপত্র, কোচিং ইত্যাদিতে অনেক টাকা চলে যায়। সব ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি পরীক্ষার ফি অনেক। চবি প্রশাসনকে শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে। আমরা চাইনা শুধু অর্থের অভাবে কেউ পরীক্ষাতে বসতে না পারুক।

চবি প্রশাসন কে যৌক্তিক ফি নির্ধারণের জন্য আহবান করে তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানে এই পর্যায় কতো কঠিন। তাদের কথাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রশাসনকে চিন্তা করে যৌক্তিক ফি নির্ধারণ করার আহবান জানাই।

ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ৩টা সেন্টারের মধ্যে রাজশাহী ও ঢাকায় আমাদের শিক্ষার্থী অনুপাতে খরচ অনেক বেশি হয়। আবার আবেদনের মোট আয়ের ৪০ শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। এবং কি আগের থেকে টোটাল খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবুও আমরা রেট বাড়াইনি। আবেদনের খরচ কমিয়ে দেওয়ার মত কোন পথ আমি দেখছি না।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::