আনাছুল হক, কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজারের পেকুয়ায় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ডাম্পার ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ মাস বয়সী শিশু ও তার বাবা-মাসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে টৈটং ইউনিয়নের হাজীবাজার এলাকায়, যেখানে পেকুয়া থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে বিপরীতমুখী ডাম্পারের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। নিহতদের মধ্যে অটোরিকশা চালক মনিরুল মান্নান (টৈটং ধনিয়াকাটা এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে), ফিরোজ ও তার স্ত্রী শারমিন (চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার বাসিন্দা), তাদের ৬ মাস বয়সী শিশু জাহেদসহ এক যাত্রী রয়েছেন, যাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হয়নি।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পেকুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, ঘটনাস্থল থেকে ডাম্পার ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
অপরদিকে, জেলার ঈদগাঁও উপজেলায় ঈদগাঁওর ফকিরা বাজার এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি ডেকোরেশন দোকানে ধাক্কা দেয়, এরপর গাছের দোকানে আঘাত করে। এতে ডেকোরেশন দোকানের মালিকের অভিযোগ, তার দোকানে থাকা সব মালামাল ধ্বংস হয়ে গেছে, যা তার জন্য বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়েছে। একইভাবে, গাছের দোকানে বেশ কয়েকটি গাছ রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ায় যান চলাচলে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হয়।
দুর্ঘটনায় ১০-১৫ জন আহত হন, তাদের মধ্যে কয়েকজনের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। স্থানীয়রা জানান, বাসের চালক ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন, যার ফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে। দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি সরিয়ে দেয় এবং রাস্তার ওপর ছড়িয়ে পড়া গাছগুলো উদ্ধার করে।
এ দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজও অব্যাহত রয়েছে।