নাজমুল হুদা : সৈয়দপুর ( নীলফামারী ) প্রতিনিধি : নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় সৈয়দপুরের মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে অকটেন, পেট্রল ও এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস।
উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে নানা জাতীয় তরল দাহ্য পদার্থ। রাস্তার পাশে সারি সারি সাজানো বোতলে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা হলেও প্রসাশন দেখেও দেখছেন না। আসলে বর্তমানে প্রসাশনের তৎপরতা না থাকায় ব্যবসায়িরা দাপটের সাথেই এসব বিক্রি করছেন। ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার মুক্ত হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে সত্য কিন্তু অপরাধীরাও স্বাধীন হয়েছে তা সৈয়দপুরের অনেকেরই জানা।খোলা বাজারে অনুমোদনহীন দোকান থেকে অকটেন ও পেট্রল কিনে যেকোনো সময় দুর্বৃত্তরা ঘটাতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে সহজ সরল পথচারী ও স্থানীয় জনগণ।
জানা গেছে, জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা-পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।কিন্তু যারা এসব বিক্রি করছেন তারা সরকারি বিধান বা নির্ধাশনার তোয়াক্কাই করছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর এলাকার কোথাও কোথাও বা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সও নাই এসব দোকানে। তাছাড়া এসব দোকানে নেই কোনো আগুন নিবারক যন্ত্র, আবার ২/১ টি দোকানে থাকলেও সেটা রাখা হয় অন্য জায়গায়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটলে তার প্রতিকারের নিয়ম জানা নেই এই ব্যবসায়ীদের।
সৈয়দপুর উপজেলার ক্যান্টবাজারের এক পেট্রল,অকটেনও গ্যাস বিক্রেতা বলেন, আমি প্রায় ৫/৬ বছর থেকে উপজেলা প্রসাশনের মৌলিক অনুমোদন নিয়ে পেট্রলও অকটেন এর ব্যবসা করে আসছি। লিখিত কোন অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলায় প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী মুদি দোকানে পেট্রোল, অকটেন ও গ্যাসের ব্যবসা করে আসছেন। তাদের কোন সমস্যা না হলে আমারো সমস্যা হতে পারে না।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফইম উদ্দিন বলেন আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আমি বেশ কয়েকবার মৌলিক অভিযোগ পেয়েছি, খুব দ্রুতই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি ।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর- ই আলম সিদ্দিক বলেন,বৈধ কাগজ পত্র ছাড়া প্লাস্টিক বোতলে পেট্রোল বিক্রি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা সেটা অপরাধের। তাছাড়া বৈধতা বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ১০ টির উপরে বিক্রয় করলে সেটাও আইন বিরোধী। খুব শিগগিই এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।