এরই মধ্যে শনিবার চট্টগ্রামের কোনো এক বন্ধুর বাসায় থাকা অবস্থায় তার স্বামী মোহাম্মদ সাব্বিরের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন মিম। কান্না জড়িত কণ্ঠে দেড় ঘণ্টা ধরে তিনি তার এই করুণ পরিণতির নানা কারণ তুলে ধরেন। তিনি এসময় নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে তার নানা চড়াই উতরাই পেরোনোর কথাও বলেন। এসময় তার কাছে কেউ টাকা পাবেন না বলে জানিয়ে তিনি কয়েকজনের নামোল্লেখ করে তাদের কারণেই তার এই পরিণতি বলে জানান। তিনি মেসের বোর্ডারদের নিজের মেয়ের মতো বলে উল্লেখ করে তাদের অনেক ভালোবাসতেন বলে জানান।
মীম হাতে বিষের বোতল নিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ব্যবসাটা বড় হয়ে গেছে দেখে ওদের নজরে পড়ে গেছে। আজ ওরা আমাকে শেষ করে দিছে। ‘যারা আমাকে আমার ভালোবাসার মানুষ থেকে আজ দূরে সরিয়ে দিল, তোরা ওদের কাউকে ছাড়িস না। ’ বেশ কয়েকজনকে তার এই নির্মম পরিণতির জন্য দায়ী করে লাইভ ভিডিওতে থেকেই বিষপান করেন তিনি। এরপর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রোববার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়।
আড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাবু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মীমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে শহরের ঝিলটুলী মহল্লার ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে একটি ১১ তলা ভবনের ছয়টি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ‘আফসানা ছাত্রী হোস্টেল’ নামে একটি মেস চালু করেন মিম। ৬টি ফ্লাটের বিভিন্ন কক্ষে প্রায় ১২০ জন ছাত্রী/বোর্ডার রয়েছেন। একই বিল্ডিংয়ের আরেকটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে স্বামী ইমামুজ্জামান মিয়া ওরফে সাব্বিরকে নিয়ে সপরিবারে থাকতেন তিনি। গত বুধবার ভোরে হঠাৎ একটি হলুদ পিকআপভ্যান ও দুটি ভ্যানে করে তার পরিবারের সব মালামাল নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান মিম।