বগুড়া প্রতিনিদধি:::: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জননেতা ডা: শফিকুর রহমান আজ (শনিবার) বগুড়া ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে দুপুর ২টায় বগুড়া শহর ও জেলা শাখা আয়োজিত বিশাল সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির আন্দোলনের কোনো একক মাষ্টারমাইন্ড নেই। দেশের মানুষ আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। আন্দোলনের নেতৃত্বের কৃতিত্ব যুবসমাজের।যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছি সেইসব বীর শহীদদেরকে জামায়াতে ইসলামী দলীয়ভাবে বিবেচনা করে না। তাঁরা জাতীয় বীর।’ ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের কে দেশের আইন অনুযায়ী বিচারে উপযুক্ত শাস্তি হবে, তারপর জনগণ স্বীদ্ধান্ত নেবে যে আওয়ামীলীগ ভবিষ্যতে এদেশে রাজনীতি করতে পারবে কি-না।‘শেখ হাসিনার সরকার বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসসহ সারাদেশের সকল অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। সাড়ে ১৩ বছর আমরা আমাদের অফিসে বসে কোনো কাজ করতে পারিনি। গারে জোরে আমাদের নিবন্ধন এবং প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘর মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। চব্বিশের ছাত্রজনতার আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে শেষ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনাকে শুধু ক্ষমতাই ছাড়তে হয়নি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী। এর আগে সকালে একই ভেন্যুতে শহর ও জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন আমীরে জামায়াত। দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর এই খেলার মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশ করছে জামায়াত। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেওয়া বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী গোলাম রব্বানীর নির্বাচনী জনসভা হয়েছিল এই মাঠে। তৎকালীন আমীরে জামায়াত ভাষা সৈনিক গোলাম আযম এবং আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সেই জনসভায় ভাষন দিয়েছিলেন। এরপর এই মাঠে আর কোন প্রকাশ্য সমাবেশ করতে পারেনি জামায়াত। ফলে এবারের সমাবেশকে ঘিরে সারা জেলায় ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে গত ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ডা: শফিকুর রহমান। তাঁকে একনজর দেখার জন্য হাজার হাজার জামায়াতের কর্মী ও সমর্থকরা সকাল থেকেই সমাবেশ স্থলে যোগ দেয়।